চাকরি

সেই রাজা-রানী এখনও বহাল তবিয়তে

  প্রতিনিধি 9 February 2025 , 11:54:53 প্রিন্ট সংস্করণ

মহামান্য রাস্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর এপিএস আজিজুল হক মামুন এর কথা অনেকেরই মনে আছে। ৩১ তম বিসিএস ইকোনমিক ক্যাডারের কর্মকর্তা মামুন। তার বউ পুলিশ কর্মকর্তা এডিসি সানজিদা। এই মহারানি আবার এডিসি হারুনের প্রেমিকা।

মহারাজ মামুন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। বিভিন্ন অপরাধে দেশব্যাপী শিরোনাম হয়েছেন অনেকবার। প্রথম শিরোনাম হন ২০১৪ সালে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পিস্তল হাতে গুলি চালিয়ে। দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে সেই ভিডিও। কিন্তু কোন একশন নেয়া হয়নি মামুন সহ অন্যান্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে।

দ্বিতীয়বার আবার আলোচনায় আসেন ২০১৭ সালে। এবার জানা যায়, আজিজুল হক মামুনের পিতা গাজীপুরের কাপাসিয়ার গাউসুর রহমানের ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা কাহিনী। ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেটের কোটার কল্যাণে বিসিএস ইকোনোমিক ক্যাডারে সুযোগ পান আজিজুল হক, পুলিশ ক্যাডারে সুযোগ পান ভাই আতিকুল ইসলাম, জুডিসিয়াল সার্ভিসে সুযোগ পান বোন আরোবিয়া বেগম। বিষয়টি সার্চলাইটে প্রকাশিত হলে সারাদেশে তোলপাড় সৃস্টি হয়। কিন্তু পিতার মুক্তিযোদ্ধা জালিয়াতির ইস্যুর পর ও তাদের তিন ভাই বোনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়নি। বরং দোর্দান্ত প্রতাপে চাকরি করতে থাকেন আজিজুল হক মামুন। হয়ে যান রাস্ট্রপতির কার্যালয়ের এপিএস।

২০২৩ সালে বউ সানজিদার পরকিয়া ইস্যুতে শাহবাগ থানার এডিসি হারুনের সাথে মারামারিতে জড়িয়ে দেশব্যাপী ভাইরাল হন। এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে পুলিশ হতে একশন নেয়া হলে ও এপিএস আজিজুল হক হারুনের কিছুই হয়নি। এখনো দুর্দান্ত প্রতাপে চাকরি করে যাচ্ছেন রাস্ট্রপতির কার্যালয়ে। ভাই আতিকুল ইসলাম ও পুলিশে পদোন্নতি পেয়ে হয়েছেন অতিরিক্ত উপ কমিশনার। বোন আরোবিয়া বেগম সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট । ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা গাউসুর রহমানের তিন সন্তানকে অতিদ্রুত বরখাস্ত না করলে কোটা আন্দোলনের শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানি করা হবে। (সংগৃহীত)

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ